কলকাতা: বুধবার কলকাতায় বিজেপির হাইভোল্টেজ সভা। দুপুরে পা রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। ধর্মতলায় ত্রিস্তরীয় মঞ্চে শা’র সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে সভায় আসবেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির হাইভোল্টেজ সভার দিনই কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়া টাকা, বেকারত্ব সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অমিত শা’কে ৫১ হাজার চিঠি দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, চিঠিতে বেশকিছু প্রশ্ন রেখেছেন তৃণমূল যুব সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। পাশাপাশি, তোলা হয় রাজ্যের ‘বকেয়া’র দাবিও। অমিত শা’কে দেওয়া চিঠিতে সায়নীরা লেখেন, ক্ষমতার চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করার যে ঐতিহ্য বাংলার রয়েছে, সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল যুব এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিছু প্রশ্ন করছেন। তার পর একের পর এক অভিযোগ করা হয়েছে। অনুযোগ করা হয়েছে ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’ নিয়ে। সায়নী লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাবশত বাংলার ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে।’ পাশাপাশি, বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাড়ি বাড়ি ইডি, সিবিআই পাঠানোর সমালোচনাও করেছেন সায়নী। একই সঙ্গে দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের সমস্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
তৃণমূলের যুব নেতৃত্বের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য এই চিঠিগুলি লেখা হয়েছে। সায়নীদের বক্তব্য, দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অবস্থা এসব নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য চিঠিতে লেখেন, মোদি সরকারের অধীনে ভারতের বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের সর্বোচ্চ হয়েছে। হাজার হাজার তরুণ দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ছাত্র এবং যুব সমাজ আশা করেছিল, বছরে দু’কোটি বেকার চাকরি পাবে। তাই আপনাদের ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু কথা আপনি রাখেননি। এই চিঠি প্রেরকদের অনেকেরই দাবি, তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের এলাকায় ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের দুর্ভোগের সাক্ষী থেকেছেন। চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের ‘প্রাপ্য’ দাবি করেছেন তাঁরা।