কলকাতা: দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়লে বা সেই প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করলে কড়া পদক্ষেপ করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার জেলায় জেলায় বিক্ষুব্ধদের কোথাও সাসপেন্ড, আবার কোথাও বহিষ্কারের পথে হাঁটছে তৃণমূল। এদিনই বীরভূমে আরও ১৪ জন কর্মীকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আগে সেখানে ৩০ জনকে একই অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার হুগলিতে ২৭ জন নেতা-কর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। ৪০ জন সাসপেন্ড হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে।
দলবিরোধী কাজ ও ‘গোঁজ’ প্রার্থীদের নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল। দলের পদে থেকে নির্দল ও অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অভিযোগে ২৭ জনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছে হুগলির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়। তিনি জানান, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁরা ভোটে জিতলেও দলে ফেরানো হবে না।
বৃহস্পতিবারই বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর মিলিয়ে ১৮৯ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, এবিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব কঠোর। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনওরকম কাজ মেনে নেওয়া হবে না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একসঙ্গে এতজন কর্মী সাসপেন্ড হওয়ায় ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তবে তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।