চালসা: হাতির ভয়ে গরুমারায় বন্ধ থাকল জঙ্গল সাফারি। আর এনিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পর্যটকরা। যদিও পরে উচ্চপদস্থ বনাধিকারিকের হস্তক্ষেপে পর্যটকদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়। বর্তমানে ডুয়ার্সে শীত পড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে। আর ডুয়ার্সে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ জঙ্গল সাফারি। অন্যান্য দিনের মতোই রবিবার বিকেলেও গরুমারা গেট দিয়ে যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচ টাওয়ারে সাফারির জন্য বেরিয়ে ছিলেন পর্যটকরা। যাত্রাপ্রসাদে প্রবেশের সময় ছিল বিকেল তিনটে। কিন্তু তিনটে থেকে গরুমারা গেটেই আটকে রাখা হয় সাফারিতে থাকা পর্যটকদের।
প্রাথমিকভাবে বনকর্মীরা কেন আটকে রাখা হয়েছে এর সদুত্তর দিতে না পারায় পর্যটকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বনকর্মীদের সঙ্গে এক প্রকার বচসা শুরু হয়ে যায় পর্যটকদের। বনকর্মীরা প্রায় এক ঘন্টা পর পর্যটকদের চাপড়ামারিতে সাফারির প্রস্তাব দেন। কিন্তু ততক্ষনে বহু দেরি হয়ে যাওয়ায় আর সাফারি করতে চাননি পর্যটকরা। এরপর বনকর্মীরা জানান, জঙ্গলের রাস্তায় একটি হাতি দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। তাই এ সময়ে পর্যটকদের প্রবেশ বিপজ্জনক হতে পারে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসেন গরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন। তিনি এসে পর্যটকদের বোঝান যে এই সময় কোনও ভাবেই যাত্রাপ্রাসাদের সাফারি সম্ভব নয়। যেকোনও সময় হাতিটি আক্রমণ করতে পারে। পর্যটকরা চাইলে সাফারির টাকা ফেরত বা অন্যত্র অন্য সময় সাফারি করানোর প্রস্তাব দেন তিনি। এতে কিছুটা ক্ষোভ প্রশমিত হয় পর্যটকদের।