এসএফ রোডজুড়ে ফুটপাথ দখল ব্যবসায়ীদের, প্রশাসনকে পদক্ষেপের আর্জি

শিলিগুড়ি: কোথাও পার্কিংয়ের নাম করে দড়ি দিয়ে ঘেরা হয়েছে রাস্তার পাশের জায়গা। কোথাও আবার দোকানের সামগ্রী একেবারে রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু সামগ্রীই নয়, বেশ কয়েক জায়গায় দোকানের বাইরের জায়গাতে চেয়ার, টেবিল পেতে চলছে অবাধ ব্যবসা। এই ছবি শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার (এসএফ) রোডে গেলেই দেখা যাবে।

শহর শিলিগুড়ির গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম রাস্তাগুলোর মধ্যে একটা এসএফ রোড। এই রাস্তার দুই ধারের জায়গা অনেকটাই চওড়া। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ ফুটপাথ দখল করে চালাচ্ছে ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা যে যার ইচ্ছেমতো সামনের রাস্তা পর্যন্ত জায়গা দখল করে নিচ্ছে। বিষয়টা দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন পুরকর্তারা। শহরবাসীদের কটাক্ষ, মাঝেমধ্যে লোক দেখাতে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযান হয় ঠিকই। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতে অবস্থা ফের যে কে সেই। নিজেদের পুরোনো জায়গায় ফিরে আসেন ব্যবসায়ীরা। পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার অবশ্য বিষয়টি মেনে না নেওয়ার কথাই বললেন। তাঁর বক্তব্য, ‘ব্যবসায়ীদের এই ধরনের কাজকর্ম কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ওই রাস্তায় ফুড কোর্ট সহ শহিদদের সম্মান জানানোর জায়গা তৈরি করা হবে। দখলদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

থানা‌ মোড় হয়ে এই এসএফ রোড বরাবর হাঁটলে চোখে পড়বে রাস্তার ধারের বেশ কয়েকটি জায়গা ব্যবসায়ীরা ঢালাই করে দখল করে নিয়েছেন। কেউ সেখানে দোকান খুলে বসেছেন। কেউ আবার দোকানের জিনিসপত্র সেখানে রাখছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকানের সামনের ফুটপাথটিকে বানিয়ে ফেলেছেন নিজস্ব পার্কিংয়ের জায়গা। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, এভাবে সরকারি জায়গা দখল করাটা অবৈধ। তাহলে দিনের পর দিন কীভাবে রাস্তার দুইধার দখল করে ব্যবসা চলছে, প্রশ্ন করলেও ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে নারাজ। এক ব্যবসায়ীর দাবি, ‘দোকানের ভেতর জায়গা কম। ফুটপাথটা খালিই থাকে। তাই চেয়ার, টেবিল পাতা রয়েছে। কেউ বললে সরিয়ে নেব।’

কয়েকজন ব্যবসায়ী লজ্জা না করে দোকানের সামগ্রী একেবারে রাস্তা পর্যন্ত সাজিয়ে রেখেছেন। ব্যবসায়ী অরবিন্দ রায়ের যুক্তি, ‘আসলে অন্যরা যেভাবে জায়গা দখল করছে, তাতে আমার দোকানটাই ঢাকা পড়ে গিয়েছে। তাই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দোকানের কিছু সামগ্রী বাইরে এনে রেখেছি।’ শহরবাসীর কথায়, শহরের সব জায়গাতেই দখলদারি চলছে। তাহলে স্টেশন ফিডার রোডই বা বাদ যাবে কেন? যে যার মতো রাস্তার দুই ধারের বড় ফুটপাথ দখল করে নিচ্ছে। প্রশাসনকে এই বিষয়টা নিয়ে পদক্ষেপ করার দাবি জানালেন।