অভিরূপ দে, ময়নাগুড়ি: নতুন স্টলে যেতে রাজি নন জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে যে পরিকাঠামো রয়েছে, তা নিয়ে মার্কেট কমপ্লেক্স চালু হলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সুবিধার বদলে অনেক বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। জল্পেশ মার্কেট কমপ্লেক্স অপরিকল্পিতভাবে বানানো হয়েছে, স্টল বণ্টনের পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা রয়েছে ইত্যাদি অভিযোগ তুলে মার্কেট কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন সেইসব ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে তাঁরা দ্রুত শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে ময়নাগুড়ি জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের জমিতে ১০৩টি ঘরবিশিষ্ট দোতলা সেই মার্কেট কমপ্লেক্স বানানো হয়েছে। জল্পেশ মন্দিরের সৌন্দর্য বাড়াতে মন্দিরের সামনের দিকে থাকা দোকান ঘরগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই ব্যবসায়ীদের ওই মার্কেট কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হবে। স্টল বণ্টনের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে প্রশাসনিক কর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেছেন এসজেডিএর চেয়ারম্যান।
এলাকার ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, ওই কমপ্লেক্স তৈরির আগে প্রশাসনের তরফে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বলা হয়েছিল, নকশা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তা করা হয়নি। এখন দেখা যাচ্ছে কমপ্লেক্সের ভেতরের রাস্তাগুলি সংকীর্ণ। পণ্য ঢোকানো, বের করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। মাছ-মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য যে জায়গা তৈরি করা হয়েছে, সেখানে ১৪ জনের বসার জায়গা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তেমন ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ২৫ জন। ভেতরে বৃষ্টির জল জমলে তা বের হওয়ার কোনও নিকাশিব্যবস্থা নেই। দোকান ঘরগুলিও আকারে ছোট বলে অভিযোগ।
জল্পেশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিভাস রায় বলেন, ‘আমাদের দাবি না মিটলে কেউ নতুন কমপ্লেক্সে যাব না।’ একই কথা বলেছেন টোটোন রায়, ক্ষৌরকার বিমল শর্মা, প্রিয়নাথ রায়, প্রবীণ সার ব্যবসায়ী অশোক চাকি প্রমুখ।
মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব জানিয়েছেন, মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির আগে ব্যবসায়ীদের নিয়ে অন্তত তিনবার বৈঠক করা হয়েছে। তারপরেও সমস্যা। ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের তালিকায় ৬৯ জনের নাম থাকার কথা। কিন্তু তা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৮১ জন। অতিরিক্ত এই ১২ জন কারা, সেটাও স্পষ্ট নয়। গিরীন্দ্রনাথের অবশ্য দাবি, অতিরিক্ত কারও নাম জোড়া হয়নি।
এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘মার্কেট কমপ্লেক্সের পরিকাঠামোগত ত্রুটির অভিযোগ সঠিক নয়।’ ব্যবসায়ীরা কথা বলতে এলে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।