নাগরাকাটা: সেবকের টানেলের সামনে রেল ট্র্যাকের ওপর দিয়ে দুলকি চালে হেঁটে যাচ্ছে হাতি। পেছনে তখন ট্রেন। তাতে থোড়াই কেয়ার গজরাজের। যদিও সতর্ক ছিলেন ধুবুরি-শিলিগুড়ি ডিএমইউ এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট শংকর কুমার ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট দীপক কুমার। ট্রেনের গতি শ্লথ করে দিয়ে হাতিটিকে নিরাপদে পাশের জঙ্গলে ঢোকার পথ প্রশস্ত করে দেন তাঁরা।
রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে বাগ্রাকোট ও সেবক স্টেশনের মাঝে। এই নিয়ে গত ৬ দিনে জরুরিকালীন ব্রেক কষে হাতি রক্ষার ৩টি ঘটনা ঘটল। ৯ অগাস্ট গভীর রাতে চাপরামারির রেলপথে মালগাড়ির ধাক্কায় গর্ভবতী হস্তিনীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর থেকে এই নিয়ে গত দেড় মাসে সতর্ক রেল অন্তত ৩০-৩৫ বার হাতিদের সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা যাচ্ছে। এই প্রয়াসকে স্বাগত জানাচ্ছে বন দপ্তর থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিত গৌতম বলেন, ‘বুনোদের রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জঙ্গলের পথে নিয়ন্ত্রিত গতিবেগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ট্রেন চালকদের এব্যাপারে সতেচন রাখার প্রক্রিয়া জারি আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।’
রেল সূত্রেই জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে শিলিগুড়ি জংশন পর্যন্ত ১৬৮ কিলোমিটার পথে চাপরামারি, মহানন্দা, মংপং, জলদাপাড়ার জঙ্গলের রেলপথে ট্রেন থামিয়ে হাতি রক্ষার একের পর এক ঘটনাগুলি ঘটেছে।