উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক বিদেশি জাহাজের ধাক্কায় সাগরে ডুবে গেল ইলিশ বোঝাই ট্রলার। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জম্বুদ্বীপ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন ট্রলারে থাকা ১৬ জন মৎস্যজীবী। ভেসে যায় ট্রলারে থাকা সমস্ত ইলিশমাছ। ট্রলার ডুবে যাওয়ায় বড়সড় ক্ষতির মুখে ট্রলার মালিক। যদিও পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর নৈনানের গাজিপুরের ঘাট থেকে ১৬ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ ধরতে যায় এফবি রাজেশ্বরী নামে একটি ট্রলার। মাছ ধরে ফেরার পথে এই বিপত্তি ঘটে। শুক্রবার রাত আড়াইটে তিনটে নাগাদ জম্বুদ্বীপ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারটিতে ধাক্কা মারে একটি বিদেশি জাহাজ। এরফলে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার কবলে পরতেই আশ পাশ থেকে অন্যান্য ট্রলারগুলি এগিয়ে এসে কোনও ক্রমে ১৬ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যায় তাঁরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারে প্রায় ১ টন ইলিশ মাছ ছিল। কিন্তু ডুবে যাওয়ার কারণে ট্রলারের সমস্ত মাছে সাগরের জলে ভেসে যায়।যদিও পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধার করা হয়। কাছি দিয়ে নামখানা ঘাটে টেনে আনার ব্যবস্থা করা হয় ওই ট্রলারটি।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনান গাজিপুরে রাজেশ্বরী ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। শুক্রবার রাত আড়াইটে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। গভীর সমুদ্রে ট্রলারটা তখনও মাছ ধরছিল। জাল পাতাই ছিল। একটা বিদেশি জাহাজ ভুল করে ধাক্কা মেরে দেয়। তাতেই আমাদের ট্রলারটা ডুবে যায়। ১৬ জন মৎসজীবী ছিলেন। তাঁরা সকলেই জলে পড়ে যান। যদিও আশেপাশে অন্য যেসব ট্রলার মাছ ধরছিল তাঁরা বড় বিপদ থেকে বাঁচান। তবে মাছ পুরোটাই জলে। জালেরও ক্ষতি হয়েছে।”