চাঁচল: নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চাঁচলের রাজনীতি। রবিবার দুপুরেও চাঁচল ১ ব্লকের কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মুলাইবাড়িতে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুলাইবাড়ির কংগ্রেস প্রার্থী রুবি বিবির অভিযোগ, ‘আমি রবিবার দুপুরে বাড়ি বাড়ি প্রচারে গেলে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেন। সাধারণ মানুষকে হুমকি দেয়, কংগ্রেস প্রার্থীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। প্রতিবাদ করলে এদিন আমাকে গালিগালাজ এবং মারধর করে। আমাকে বাঁচাতে দেওর এগিয়ে এলে তাঁকেও তৃণমূলের লোকজন লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।’
অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরাই তাঁদের মারধর করেছেন। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মুক্তার আলির বক্তব্য, ‘কংগ্রেস কর্মীরা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। আমাকে মারধর করে গায়ের পোশাক ছেড়ে দেন তাঁরা।’
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। ১৩ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আনিসুল হকের তোপ, ‘তৃণমূল এখানকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি নষ্টের চেষ্টা করছে। এখানকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রার্থীকে মারধর করেছে। আমরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
তৃণমূল কংগ্রেসের চাঁচল ১ ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি আবার দাবি করেছেন, ‘কংগ্রেস প্রার্থী ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলির চেষ্টা করছিলেন। আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করেন কংগ্রেসের লোকজন।’ আফসারের কটাক্ষ, ‘পায়ের তলার মাটি না থাকায় কংগ্রেসের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।’