সামসী: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অশান্তি অব্যাহত জেলায় জেলায়। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালতীপুরের জালালপুর। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তেতে উঠেছে ওই এলাকার রাজনীতি। মঙ্গলবার দুপুরে ভোট প্রচারকে ঘিরে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এদিন দুই দলের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়। বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। চলেছে গুলি, বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’পক্ষের অন্তত ৮ জন জখম হন। দু’পক্ষই চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এলাকায় রয়েছে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী।
তৃণমূলের ১৯ নম্বর আসনের জেলা পরিষদ প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের অভিযোগ, এদিন তিনি শতাধিক অনুগামী নিয়ে জালালপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচার করছিলেন। সেই সময় কংগ্রেসের কিছু জোট সমর্থক তাঁকে ভোট প্রচারে বাধা দেন। তাঁদের কথা না শোনায় কংগ্রেস সমর্থকরা লাঠি-সোটা নিয়ে তাঁর এবং তাঁর দলের লোকেদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তৃণমূলের লোকজনকে মারধর করা হয়। এতে শাসকদলের কমপক্ষে পাঁচজন জখম হন বলে আব্দুল হাই দাবি করেন। এরপর তাঁর দলবলকে ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের লক্ষ্য করে দুটি বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও বোমার আঘাতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জখমদের চিকিৎসার জন্য মালতীপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে শাসকদলের অভিযোগকে মিথ্যে বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা তথা ১৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী এমদাদুল হক। তাঁর পালটা অভিযোগ, এদিন ভোট প্রচারে এসে পুলিশের সামনেই এলাকার কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল আহাদ আলিকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন মারধর করেন। তিনি জানান, এদিন দুপুরে কংগ্রেসের দু’জন কর্মী বাজার যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের রাস্তা আটকে মারধর করে শাসকদলের লোকজন। ল্যাচন বিবি নামে কংগ্রেসের এক মহিলা কর্মীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এলাকার কংগ্রেসের এক কর্মী মহম্মদ আলির বাড়িও ভাঙচুর করে শাসকদলের লোকজন। কংগ্রেসের লোকেদের ভয় দেখানোর জন্য শূন্যে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে শাসকদলের লোকজন। শাসকদলের মারে এক মহিলা কর্মী সহ তিনজন জখম হয়েছেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়, নতুন করে যাতে আর উত্তেজনা না ছড়ায় তারজন্য এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। ঘটনার তদন্ত চলছে।