মুর্শিদাবাদ: রাজ্যে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিনও হিংসা অব্যাহত। বুধবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। এই ঘটনাতে আহত হয়েছেন আরও দু’জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন কবীর(৩০)। তার বাড়ি খরগ্রাম থানার রুহিগ্রাম এলাকায়। সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত হয়ে শফিকুল শেখ এবং মাসুদ রানা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ আসন বিশিষ্ট সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতে এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১৪টি আসনে জেতে। পরবর্তীকালে আরও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস এবং নির্দল সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আজ তৃণমূলের তরফ থেকে বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ড গঠন হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা আজ বিকেলে ওই এলাকায় একটি বিজয় মিছিল বার করে। সেই বিজয় মিছিল থেকে হুমায়ুন সহ বাকি তৃণমূল সমর্থকদের উপর হামলা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হুমায়ুনকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে তাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত হুমায়ুন কবীরের মা সানোয়ারা বিবি এবছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন। মৃত হুমায়ুনের বৌদি রুবিনা বিবি বলেন, ‘আমাদের গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা আজিমুল শেখ এবং আতিকুল শেখের দু’টি গোষ্ঠীর লড়াইয়ে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে তারা। একটি গোষ্ঠী চাইছিল না মঞ্জু আখতারা সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হোক। আমার দেওর সক্রিয়ভাবে কোনও রাজনৈতিক দল করত না ‘
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি তাজেম শেখ সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে আজ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। খড়গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় এই ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ।’