নাগরাকাটা: একসঙ্গে সুলকাপাড়ার ১২ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সুলকাপাড়া হাইস্কুলে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দলের ব্লক কমিটির সভাপতি ওই ঘোষণা করেন। বহিষ্কারের তালিকায় নাম রয়েছে সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান আশা ওরাওঁ (লামা) ও উপপ্রধান গীতা ওরাওঁ। ওই দুজন এবারের ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর বাইরে বহিষ্কার হওয়া উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সুলকাপাড়া অঞ্চল কমিটির সভাপতি মোবারক আলি, দলের সুলকাপাড়া অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি রবিউল হক, দুটি বুথের সভাপতি শংকর রাই ও ডেভিড কুজুর। ঘাসফুল শিবিরের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, ‘যে ১২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁরা এবারের ভোটে তৃণমূলে থেকেও অন্তর্ঘাত করেছে। আড়ালে সিপিএম-বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না।‘
তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও যে কয়েকজনকে এদিন বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয় তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজা ছেত্রী, কাদের আলি, মুন্নি খাতুন, দুলাব আলি, আবুল হুসেন, সফিকুল ইসলাম। তাঁরাও প্রত্যেকে বিভিন্ন বুথের কিংবা অঞ্চল কমিটির শাখা সংগঠনগুলির নেতা ছিলেন। উল্লেখ্য, নির্বাচনে তৃণমূল সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও দলের মূল্যায়ন যে কয়েকটি আসন হাতছাড়া হয়েছে সেগুলিতেও অন্তর্ঘাত না থাকলে জয় অনিবার্য ছিল। মোট ২৭ আসনের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ২১টি আসনে জয়ী হয়। বাকি ৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম ও বিজেপির ঝুলিতে যায় ৩টি করে। এদিন সুলকাপাড়া হাইস্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জয়ী ও পরাজিত সমস্ত প্রার্থীদেরই সংবর্ধনা জানানো হয়। সুলকাপাড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনে জয় পাওয়া দলীয় প্রার্থী সঞ্জয় কুজুর, শিখা বড়ুয়া ও মহমুদা বেগম ও ২৩ নম্বর জেলা পরিষদের আসন থেকে জয়ী ফিরোজ নুর পাটোয়ারিকেও সংবর্ধনা জানানো হয়।