সামসী: তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও দলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের জের! কংগ্রেস ও বিজেপিকে নিয়ে চাঁচল-২ ব্লকের খেমপুরে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। প্রধান হলেন তৃণমূলের এবং উপপ্রধান বিজেপি থেকে।
খেমপুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ২৭টি। তারমধ্যে তৃণমূল একাই পেয়েছে ১৬টি আসন। কংগ্রেস-২, সিপিএম-১ এবং বিজেপি পেয়েছে ৮টি আসন। তৃণমূল একাই ১৬টি আসন পাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তাদের বোর্ড গড়ার কথা। দলীয় সূত্রে খবর, দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে একা বোর্ড গড়তে পারেনি তৃণমূল। জানা গিয়েছে, শাসকদলের ১৬ জন জয়ী সদস্য চার ভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রধান পদের দাবিদার হন মোট চারজন। এই সুযোগে তৃণমূলের শম্পারানি সিনহা উপপ্রধান করার প্রলোভন দিয়ে বিজেপির ৮ জন এবং কংগ্রেসের ২ জন সদস্যকে নিয়ে গোপন শিবিরে যান। তাঁর পক্ষে থাকে শাসকদলের ৭ জন সদস্য। শুক্রবার বোর্ড গঠনের দিন ১৯/৮ ভোটের ব্যবধানে প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের শম্পারানি সিনহা। সম সংখ্যক ভোট পেয়ে উপপ্রধান হন বিজেপির বাসু ভুঁইয়া। নব নির্বাচিত প্রধান শম্পারানি সিনহা জানান, তিনি খেমপুর পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নে জোর দেবেন। পাশাপাশি সকলকে নিয়ে পঞ্চায়েত পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে গোষ্ঠী কোন্দল তৃণমূলের খেমপুর অঞ্চল সভাপতি প্রকাশ মণ্ডলের বক্তব্য, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও কেন এমনটা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন খেমপুর অঞ্চল সভাপতি বিষম্ভর প্রসাদ সাহা জানান, দলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শম্পারানি সিনহা বিজেপি ও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গড়েছে। এরকম হতে থাকলে দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। তিনি বিষয়টি দলের হাই কমান্ডকে দেখার কথা জানান।