মুর্শিদাবাদ: গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার তেঘরী-নাজিরপুরে। তবে পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতরা এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর সঙ্গে বেলডাঙ্গা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আতাউর রহমানের গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। সম্প্রতি রবিউল আলম চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হওয়ায় সেই দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়েছে। এরপর রবিবার ইউসুফ শেখ নামে এক বিধায়কপন্থী যুবক নাজিরপুর থেকে জয়নগরের একটি ইটভাটাতে গিয়েছিল। সেখানে কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে। এই বিবাদকে কেন্দ্র করে বিকেলে আরও একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ওই এলাকাতে। এলাকাতে যে সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটছে তাতে জড়িত কয়েকজন অভিযুক্তকে ধরার জন্য গতকাল রাতে রেজিনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী তেঘরী-নাজিরপুর গ্রামে যায়। সেইসময় তারা ইউসুফের খোঁজ করতেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
অভিযোগ, সেইসময় বেশকিছু গ্রামবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করেন। এই ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে রেজিনগর থানার এক শীর্ষ আধিকারিক গোটা বিষয়টিকে ‘ছোট’ ঘটনা বলে এড়িয়ে গেছেন।
রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় ওসি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন না। পঞ্চায়েত ভোটের সময় একটি খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের না ধরে তিনি সাধারণ গ্রামবাসীদেরকে হেনস্তা করছেন। তাই কিছু গ্রামবাসী পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।‘