পুণ্ডিবাড়ি: চোদ্দ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুণ্ডিবাড়ি থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযুক্ত খোকন বর্মন এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সোমবার কিশোরীর মেডিকেল টেস্ট হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে সে পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরীর বাবা-মা দু’জনেই রবিবার অন্যের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মেয়েটি তার দিদির সঙ্গে বাড়িতে ছিল। বিকেলের দিকে দিদি জিনিসপত্র কিনতে পাশের একটি দোকানে গিয়েছিলেন। সেই সময় কিশোরী ঘরে একাই ছিল।
অভিযোগ, প্রতিবেশী খোকন বর্মন কিশোরীকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি বাধা দিলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনেরও চেষ্টা করে খোকন। দোকান থেকে ফিরে ঘরের দরজা খুলতেই এই দৃশ্য চোখে পড়ে কিশোরীর দিদির। তাঁর চিৎকার শুনে অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। এরপর মেয়েটির দিদি অভিযুক্তকে আটকাতে গেলে যুবক তাকেও মারধর করে। এমনকি ঘটনার কথা কাউকে জানালে দুজনকেই প্রাণে মারার হুমকি দেয়। সোমবার নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পুণ্ডিবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি উপেন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি বলেন, ‘পুলিশ যদি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে দ্রুত গ্রেপ্তার না করে তাহলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।’ এবিষয়ে তৃণমূলের গোপালপুর অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুব্রত চকদার সাফ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তাঁদের দলের কোনও নেতা নয়। যেহেতু অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাই পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখুক।