কোচবিহার: বিল্ডিং প্ল্যান (Building Plan) পাশ না করেই তৃণমূল নেতার বহুতল নির্মাণের কাজ শুরু হওয়াকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে দিনহাটা শহরে। ওই তৃণমূল (TMC) নেতার নাম আবদুল মান্নান। তিনি আটিয়াবাড়ি-২ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি কী অবস্থায় আছে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। বেআইনি কাজ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মান্নানের দাবি, ‘যে অংশের প্ল্যান (Plan) পাশ করানো আছে সেই অংশের কাজ করা হয়েছে। যে অংশের প্ল্যান পাশ করানো নেই সেই অংশে কাজ করা হয়নি।’
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হুইপ অমান্য করে নিজের অনুগামীকে প্রধান নির্বাচিত করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মান্নান। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি দল। বছরখানেক আগে দিনহাটা শহরের গোসানি রোড বাসস্ট্যান্ড (Bus Stand) এলাকায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ জায়গা কিনে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তিনি সেখানে নার্সিংহোম (Nursing Home) তৈরি করবেন। পরপর দুটি বিল্ডিং তৈরি করছেন তিনি। অভিযোগ, প্রথম বিল্ডিং তৈরির প্ল্যান পাশ করলেও দ্বিতীয় বিল্ডিং তৈরির প্ল্যান পাশ না করেই ওই তৃণমূল নেতা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এছাড়া ড্রেনের (Drain) একাংশ দখল করে ওই বিল্ডিং হচ্ছে। আর এ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এর আগে চেয়ারম্যান থাকাকালীন উদয়ন গুহ বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্তের বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction) ভেঙেছিলেন। দিনহাটা শহরের পাঁচ মাথার মোড়ে সিটুর পরিবহণ শ্রমিকদের অফিস ভাঙা হয়েছিল। তাহলে এক্ষেত্রে পুরসভা কী ব্যবস্থা নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দীপ্তিমান বলেন, ‘তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি দোকান তৈরি করে বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে পুরসভার মদতে ওই বেআইনি নির্মাণকাজ হবে, এটাই স্বাভাবিক।’ এলাকার কাউন্সিলার জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাশের যে কমিটি আছে সেই কমিটিতে আমি নেই। কাজেই ওই বিল্ডিং আমার ওয়ার্ডে হলেও সেটির প্ল্যান পাশ করানো আছে কি না জানি না।’
