রায়গঞ্জ: দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর অবশেষে মৃত্যু হল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের জামাইয়ের। বুধবার ভোর সাড়ে ৪ চারটা নাগাদ চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইটাহারে। ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
গতকাল ইটাহার থানার পতিরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের জামাই তন্ময় সরকার (৩০)-কে পরপর দু-রাউন্ড গুলি করা হয়। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার দেওখন্দা গ্রামে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর তলপেটে চাকু মেরে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তন্ময়কে উদ্ধার করে প্রথমে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। অপারেশনের পর ওই যুবককে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন ভোরে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার পতিরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাভিটা সংসদে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তন্ময়ের শ্বশুর দেবকুমার সরকার। শ্বশুরের হয়ে প্রচারও চালান জামাই। কিন্তু ওই সংসদে বিজেপি প্রার্থী হেরে যাওয়ায় যাবতীয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। মঙ্গলবার স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ সরকার, বিপ্লব সরকার, রাম দাসের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী তন্ময়ের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আমানুল্লার। তবে বিজেপির প্রধান মাধবী রায় বর্মন জানিয়েছেন, সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।