বালুরঘাট: জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে হবে। এই দাবিতে বিডিওকে চাপ দিচ্ছেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী সহ দলের নেতারা। বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদারের এরকমই একটি মেসেজ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, যা নিয়ে শোরগোল ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে।
সুকান্ত মজুমদারের করা টুইটে দাবি, বালুরঘাটের পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রম পরাজিত হওয়ায় পরদিন বিডিওকে রিকাউন্টিংয়ের চাপ দেন। তিনি ছাড়াও ছিলেন জেলা আইএনটিটিইউসি সহ সভাপতি রাকেশ শীল, তৃণমূল ব্লক সভাপতি স্বপন বর্মন সহ অন্য তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে বালুরঘাটের বিডিও জানান। সেই মেসেজই কোনওভাবে পেয়ে টুইট করেন সুকান্ত মজুমদার।
হীরক রানীর দেশে, হিংসা-ভোটলুঠ অনায়াসে।
তোলামূল ও প্রশাসনের যোগসাজশে ছাপ্পা এবং গননাকে প্রহসনে পরিনত করে অধিকাংশ আসন দখল করার পরেও সর্বগ্রাসী তোলামূলের পেট ভরেনি।
দেখুন কিভাবে বিজেপির জেতা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে জোরপূর্বক হারানোর জন্য তৃণমূল এবং প্রশাসনের যে ষড়যন্ত্র চলছে।এই ঘটনা ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী @MamataOfficial সরকার এবং তোলামূল দলের আগ্রাসী নগ্ন চেহারাকে জনসমক্ষে নিয়ে এলো। পঞ্চায়েত ভোটে বিডিও’র সাহায্যে ভোট লুট করে জেতার পর বিজেপি’র জেতা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে হারানোর পরিকল্পনা চলছে। বালুরঘাট বিডিও নিজে সেই কথা লিখছেন।
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) July 13, 2023
এ বিষয়ে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রমের বক্তব্য, বিডিওকে চাপ দেওয়া হয়নি, তাঁরা রিকাউন্টিংয়ের আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, সুকান্ত মজুমদার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। জেলা আইএনটিটিইউসি সহ সভাপতি রাকেশ শীলের বক্তব্য, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এবিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এভাবেই বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। যদিও এবিষয়ে বিডিও’র সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।