নাগরাকাটা: গাঠিয়া চা বাগানে আন্দোলনে নামল শাসকদল প্রভাবিত চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন। শনিবার সেখানে গেট মিটিংয়ে শামিল হয় ওই শ্রমিক সংগঠনটি। শ্রমিকদের পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া সহ মোট ১৭ দফা দাবিতে শ্রমিক সংগঠনটি সরব হয়েছে। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের গাঠিয়া ইউনিট কমিটির সম্পাদক রবীন মাহাতো বলেন, ‘আমাদের দাবি সনদ বহু আগেই বাগান কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। তবুও ম্যানেজার একবারের জন্যও আলোচনায় বসেননি। এখানকার একনায়কতন্ত্র ও শ্রমিক শোষণের প্রতিবাদেই আমাদের এই আন্দোলন।‘ যদিও এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন বাগানের ম্যানেজার নবীন মিশ্র। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক স্বার্থ সংবলিত সমস্ত কিছুই এখানে ঠিকঠাক আছে। মজুরি, পিএফ, গ্র্যাচুইটি, বোনাস প্রদানে কোনও সময়ই দেরি করা হয় না। এসব ক্ষেত্রে গোটা ডুয়ার্সের নিরিখেই আমরা যে অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি তা প্রত্যেকেরই জানা। বাড়ি ঘর মেরামতি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তা চলছে। আসলে কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই কেউ বা কারা বাগানের কর্ম সংস্কৃতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।‘
গাঠিয়া চা বাগানটি ডুয়ার্সে একটি নামজাদা বাগান হিসেবেই পরিচিত। এখানকার তৈরি চা গুণগত উৎকর্ষতার জন্য বিখ্যাত। স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে শ্রমিক সংখ্যা ২৭০০-র মতো। বাগানটির ইউনিট কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি ভরত রায় বলেন, ‘এখানকার সমস্যা নিয়ে বাগান পরিচালকদের বহুবার বলা হয়েছে। শ্রম দপ্তরকেও সবকিছু জানানো আছে। বাগানের স্বাভাবিক কাজকে বিঘ্নিত না করেই সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।‘