রায়গঞ্জ: ভোটের দিনই তৃণমূল কর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম নারায়ণ সরকার। হেমতাবাদ থানার বাঙ্গালবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভজনডাঙ্গি গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় তেজপাতা বাগানের পাশে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেল তিনটে নাগাদ হেমতাবাদ থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পেশার হাট ব্যবসায়ীর বাড়ি হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের গিয়াসিন গ্রামে। এদিন সকাল নয়টার নাগাদ নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন গিয়াসিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান তারপরে আর বাড়ি ফেরেননি।
দুপুর আড়াইটা নাগাদ ফোন মারফত তার ছেলে বিপ্লব সরকার খবর পায় তার বাবা বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তেজপাতা বাগানের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে বাবার মৃতদেহ শনাক্ত করে সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণ সরকার ২০১৩ সালে তৃণমূলের টিকিটে গিয়াসিন সংসদে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আর টিকিট পাননি। তবে নারায়ণ সরকার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে বিপ্লব সরকার বলেন, ‘আমার বাবাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। আমি খুনিদের শাস্তি চাই।’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল বলেন, ‘মৃত নারায়ণ সরকার আমাদের সক্রিয় কর্মী। পুলিশকে বলা হয়েছে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে।’ পুলিশ সুপার মহন্মদ সানা আক্তার বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। পরিবারকে বলা হয়েছে অভিযোগ পত্র জমা দিতে।’