উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকট পেরিয়ে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট(নিট)-এ ১৯২ স্থান দখল করল আগরার আরতি ঝা। ওবিসি ক্যাটাগরিতে তাঁর স্থান ৩৩। গত ১৩ জুন নিট এর ফল প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি(এনটিএ)। গত ৭ মে হয়েছিল পরীক্ষা। দেশে ২০ লক্ষের মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ ৪৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন এই পরীক্ষায়।
আগরা শহরের বাসিন্দা আরতি। তাঁর বাবা বিশ্বম্ভর ঝা পেশায় ট্রাক মেকানিক এবং মা গৃহবধূ। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ট্রাক সারানোর কাজ করছেন তিনি। সর্বভারতীয় স্তরে মেয়ের এমন সাফল্য কল্পনাও করতে পারেননি বিশ্বম্ভর। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষায় ভাল ফলের জন্য কেমন ভাবে তাঁর মেয়ে দিনের পর দিন ঘরের ফ্যান বন্ধ করে প্রস্তুতি চালিয়েছে, যাতে পড়তে পড়তে ঘুমে চোখ না জুড়িয়ে আসে। আর্থিক বাধা পেরিয়ে তাঁদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ ডাক্তার হতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের এই সাফল্যে খুশি গোটা পরিবার।
ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আরতির। পরীক্ষায় এই র্যাঙ্কের পর তাঁর ইচ্ছে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে নয়া দিল্লির এইমস থেকে এমবিবিএস পড়ে ভবিষ্যতে নিউরোলজিস্ট হওয়ার। আরতি জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের জন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্বই তাঁর পরিবারের। বাবাই তাঁর অনুপ্রেরণা। যে কোনও কাজে বাবা অনবরত উৎসাহ যুগিয়ে গিয়েছেন। ব্যর্থ হলে কীভাবে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সামনে এগোতে হয়, তা-ও শিখিয়ে দিয়েছেন বাবা-ই। তাঁর কাছেও এই সাফল্য অভাবনীয়।
তিনি আরও জানান, প্রথমে ঘড়ি ধরে না পড়ে বিভিন্ন টপিক মন দিয়ে পড়তেন। এর পর কোচিং ক্লাসে ভর্তি হওয়ার পর থেকে নিয়মিত ৬-৮ ঘণ্টা করে পড়াশোনা শুরু করেন। পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নে ভাল ছাত্রী হলেও বায়োলজি বা জীবনবিজ্ঞানের জায়গাটা একটু দুর্বল হওয়ায় ক্রমাগত এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং) জীবনবিজ্ঞান-এর পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তেন তিনি।