উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উঠল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ। অভিযোগ ট্রাম্প গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জর্জিয়া প্রদেশের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সোমবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন জর্জিয়ার ফুল্টন কাউন্টি গ্র্যান্ড জুরি। এই নিয়ে চারটি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা ট্রাম্পের অভিযোগ, “আগামী নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তাই আমাকে অপদস্থ করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে বিরোধী শিবির। এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।’’
২০২০-র আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল জর্জিয়া প্রদেশে। ফল প্রকাশ হয় বেশ কিছু দিন দেরিতে। শেষ পর্যন্ত ১২ হাজার ভোটে জয়লাভ করেন বাইডেন। সেই সময় ট্রাম্প দাবি করছিলেন, গণনায় কারচুপি করা হয়েছিল। সোমবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই পাল্টা কারচুপির অভিযোগ উঠল। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এটা তো আড়াই বছরের পুরনো একটা ঘটনা। এখন সেখান থেকে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। আর কিছু দিন পরেই আগামী নির্বাচনের জন্য প্রচার শুরু করব। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আমার ভাবমূর্তিতে কালি লাগানোর জন্যই এই সব মামলা।’’
জানা গিয়েছে, জর্জিয়ার আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ গুলির মধ্যে রয়েছে, জর্জিয়ার গুন্ডামি-বিরোধী র্যাকেটিয়ারিং আইন লঙ্ঘন করা, সরকারি কর্মকর্তার শপথ লঙ্ঘন এবং জালিয়াতির ষড়যন্ত্র। শুধু ট্রাম্পই নন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এর হলেন, হোয়াইট হাউসের তৎকালীন চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি। তা ছাড়া, আমেরিকান বিচারবিভাগের তৎকালীন কর্তা জেফরি ক্লার্ক-সহ আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফুল্টন কাউন্টির অ্যাটর্নি জেনারেল ফ্যানি উইলিস দাবি করেছেন, ট্রাম্পের করা একটি ফোন কলের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পরই ভোটে কারচুপি চেষ্টার অভিযোগ সামনে এসেছে। ফ্যানির দাবি, ওই ফোন কলে ট্রাম্প জর্জিয়ার শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে ‘১১,৭৮০টি ভোট খুঁজে বার করতে’ নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফ্যানি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্প-সহ ১৯ জনকে একসঙ্গে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের আত্মসমর্পণের জন্য ২৫শে অগাস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। জর্জিয়ার আইন অনুযায়ী আসামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আনুষ্ঠানিক ভাবে আদালতে পড়ে শোনানো হয়। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পকে সশরীর আদালতে হাজিরা দিতে হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।