মেটেলি: প্রেমের টানে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেও আটক এক বাংলাদেশি যুবক। মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাথাচুলকা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে বাংলাদেশি এক যুবকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণীকে বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই বাংলাদেশি যুবক। তরুণী তাতে রাজিও হয়।
সেই মত পাসপোর্ট, ভিসা নিয়ে বৈধভাবেই ভারতে আসে যুবক। সোমবার ওই যুবক মালাবাজারে আসে তরুণীকে নিতে। তরুণী বাড়িতে কিছু না জানিয়ে যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এদিকে তরুণীর খোঁজ না পেয়ে সোমবারই মেটেলি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ওই বাংলাদেশি যুবক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই যুবক আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এবং এর আগেও এই ব্যক্তি তিনটি বিয়ে করেছে বলে দাবি তরুণীর পরিবারের।
মঙ্গলবার ওই তরুণী এবং বাংলাদেশি যুবককে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করে মালবাজার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় মেটেলি থানার পুলিশকে। এরপর মেটেলি থানার পুলিশ মালবাজার থানায় এসে ওই দু’জনকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে মালবাজার থানার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু মাঝপথে মালবাজার শহরের ক্যাল্টেক্স মোড়ে আচমকাই পুলিশের গাড়ি বিকল হয়ে যায়। সেই সময় তরুণীর পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে ওই বাংলাদেশি যুবককে মারধর করতে শুরু করে। তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ।
ঘটনায় পুলিশকর্মীরা বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তরুণীর পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে মালবাজার থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক তরুণী ও যুবককে আবার ঘুরিয়ে মালবাজার থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে অভিযুক্ত যুবককে মেটেলি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যে যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।