উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকারের ওপর নেই ভরসা। তাই কামদুনিকাণ্ডে সুবিচারের আশায় দিল্লির পথে পা বাড়ালেন মৌসুমী ও টুম্পা কয়ালরা। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডার নেতৃত্বে বুধবার বিমানে করে রাজধানীর উদ্দেশ রওনা হন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরাও। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৌসুমী-টুম্পারা।
টুম্পা কয়াল বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় বড় আইনজীবীর রাজ্য সরকার সাহায্য নিচ্ছে। তবে কামদুনি কাণ্ডের ক্ষেত্রে তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে হালকা চালে এই মামলা লড়া হয়েছে। রাজ্য সরকার কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ফাঁসি রদের রায়ের পর বিচারব্যবস্থার উপর থেকেই যেন আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। সুপ্রিম কোর্টে হয়তো সুবিচার পাওয়া যাবে।’ অন্যদিকে মৌসুমী কয়াল বলেন, ‘আইনি সহযোগিতার জন্য প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে। আজই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করবেন তাঁরা। তারপর ঠিক হবে আগামী পদক্ষেপ।’
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত শুক্রবার কামদুনি গণধর্ষণ কান্ডে আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে এবং আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিল থেকেই আভাস মিলেছিল দোষীদের শাস্তির দাবিতে দিল্লিতে দরবার করবেন মৌসুমী টুম্পারা।