শিলিগুড়ি: গত কয়েকদিনের নজরদারির ফলে বড়সড় সাফল্য পেল বনদপ্তর। একসঙ্গে উদ্ধার হল তিন জোড়া হরিণের শিং, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি। তবে তদন্তের স্বার্থে দপ্তরের তরফে ধৃতদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই একটি চক্রের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন বনকর্মীরা। সেই মতো সোমবার বিকেলের পর থেকে অভিযান শুরু করে আমবাড়ি রেঞ্জ। এদিন রেঞ্জার আলমগীর হক ও অন্য কর্মীরা ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করেন ধৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে। ফারাবাড়ি-নেপালি বস্তি এলাকা থেকে সন্ধ্যার পর ছয়টি হরিণের শিং সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। নিয়ে আসা হয় আমবাড়ি রেঞ্জ অফিসে। রেঞ্জার আলমগীর হক বলেন, ‘আমাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল একটি চক্র হরিণের মাংস বিক্রি, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এর সঙ্গে আরও কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এদিন উদ্ধার হওয়া হরিণের শিং গুলি পূর্ণবয়স্ক হরিণের বলেই মনে করছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। এর মধ্যে একজোড়া হরিণের শিং আড়াই ফুটের বেশি দীর্ঘ। মনে করা হচ্ছে তিনটি হরিণের শিং একত্রিত করা হয়েছে। যার মধ্যে একজোড়া সিংয়ের সঙ্গে মাথার কিছু অংশ জোড়া রয়েছে। এক মাসের কিছু বেশি সময় আগে এক ব্যক্তি একজোড়া হরিণের শিং সহ ধরা পড়ে। সেই ব্যক্তিকে জেরার সূত্রেই এই চক্রের হদিস পায় বনদপ্তরের কর্মীরা। উদ্ধার হওয়া হরিণের সিং গুলি বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়েছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, গিয়েছে, শীতের সময় এলাকায় বিভিন্ন পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে। সেইমতো চাহিদা বাড়ে হরিণের মাংসের। সেই কারণে একটি চক্র নিয়মিত হরিণ শিকারের চেষ্টা চালায়। মাংস বিক্রির পর শরীরের বিভিন্ন অংশ চড়া দামে বিক্রি করাই উদ্দেশ্য তাঁদের। এছাড়াও, এই চক্রের কাছে আরও হরিণের শিং ও অন্যান্য সামগ্রী মজুদ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দপ্তরের আধিকারিকরা।