রাজু সাহা, শামুকতলা: রাজদীপ, দীপায়ন, প্রতীক এরা কেউ ষষ্ঠ শ্রেণির কেউ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ওদের মতোই এলাকার কচিকাঁচারা প্লেনের ভেতর কী যন্ত্রপাতি থাকে কীভাবে ওড়ে সেটা স্বচক্ষে দেখার জন্য বায়না ধরেছিল। সেই বায়না মেটাতেই কামাখ্যাগুড়ি এলাকার দুই ভাই রোহন বর্মন এবং রূপম বর্মন নিজেদের হাতে একটি ছোট প্লেন তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিলেন। সেই প্লেন শনিবার প্রায় এক ঘণ্টা আকাশে ওড়ালেন। এর ফলে এলাকার কচিকাঁচা থেকে বড়রা সকলেই দারুণ খুশি।
কুমারগ্রাম ব্লকের উত্তর কামাখ্যাগুড়ি এলাকার দুই তরুণ রোহন বর্মন এবং রূপম বর্মন নিজেরাই এরোপ্লেন তৈরি করলেন। রোহন এবছর বিএ পাশ করেছেন। অন্যদিকে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন রূপম। থার্মোকল, কাঠ, আঠা, বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে তাঁরা ওই প্লেন তৈরি করেছেন। দুই তরুণের প্লেন দেখতে এদিন ভিড় জমান কামাখ্যাগুড়ি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
রোহন ও রূপমের ছোট থেকেই বিভিন্ন জিনিস তৈরি করার আগ্রহ। এরোপ্লেন নিয়েও তাঁদের ছোটবেলা থেকে নানা কৌতূহল ছিল। এলাকার খুদেরা তাঁদের কাছে প্লেন তৈরির বায়না ধরে। তাদের আবদার মেটাতেই এক মাস আগে প্লেন তৈরির কাজে হাত দেন তাঁরা। তার জন্য অনলাইনে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি আনাতে হয় তাঁদের। ইউটিউব দেখে এবং নিজেরাই বুদ্ধি করে থার্মোকল এবং কাঠ কেটে এরোপ্লেনের আকৃতি তৈরি করে তাতে একাধিক পাখা এবং যন্ত্র লাগিয়ে দেন। শনিবার পরীক্ষামূলকভাবে সেটি আকাশে ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এদিন তাঁদের প্লেন দেখতেই প্রচুর মানুষ গ্রামের মাঠে জড়ো হন। প্লেন আকাশে উড়তেই দুই ভাইয়ের চোখে সাফল্যের হাসি। তাঁদের ইচ্ছা আরও বড় আকারের প্লেন তৈরি করার।
রোহন ও রূপমের বক্তব্য, ‘এত তাড়াতাড়ি সাফল্য পাব সেটা ভাবতে পারিনি। এক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করি। সমস্ত যন্ত্রপাতি আসার পর মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই আমরা প্লেনটি বানিয়ে ফেলি। এদিন সেটি আকাশে ওড়াতে পেরে মনটা ভরে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে চাই।’