মাটিগাড়া: দুই শ্রমিকের মৃত্যুর একমাস পর মাটিগাড়ার বিডিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করায় ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার। গত ১ ডিসেম্বর মাটিগাড়ার পাথরঘাটা গ্রামপঞ্চায়েত মোটাজোতে এলাকায় একটি নির্মীয়মান বহুতলে কর্মরত অবস্থায় হাইভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় মাটিগাড়ার দুই শ্রমিকের। তবে ঘটনার প্রায় এক মাস পর শুক্রবার মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে তাঁর ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মৃতের পরিবার সহ মোটাজোতের বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, নির্মীয়মাণ সংস্থা এবং প্রশাসনের গাফিলতিতে দুজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে, কিন্তু প্রশাসন নির্মীয়মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও তাঁরা এলাকা পরিদর্শনই করে চলছেন। যদিও, বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে ঘটনা সম্পর্কে আমি আগেই খবর নিয়েছিলাম। তবে আজ দেখলাম নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের দুটি ব্লকের মাঝে যেভাবে বৈদ্যুতিক মেইন লাইন চলে গেছে, এনিয়ে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেড সঙ্গে বলব।’
মৃত দুই শ্রমিক সুরেশ বর্মন এবং সঞ্জীব দাসের পরিবারের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘ এক মাস কেটে গেলেও ভবন নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। এদিন নির্মাণ সংস্থার ভেতরে গেলে দেখা যায় দুটো বিল্ডিংয়ের মাঝ বরাবর চলে গেছে বৈদ্যুতিক তার এবং সেই বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশেই দুটো বিল্ডিংকে সংযোগ করতে তৈরি করা হচ্ছে ফুট ব্রিজ। যা একেবারেই অবৈধ বলে জানিয়েছেন মাটিগাড়ার পঞ্চাযেত সমিতির সহ-সভাপতি ভোলা ঘোষ। এদিন সংস্থার তরফে সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, ‘দুজন শ্রমিক মারা যাওয়ার কারণ আমরা নই বরং তারা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।’ তবে পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ শাহিদ বলেন, ‘আমরা মাটিগাড়ার বিডিওকে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছি যেখানে চারটি বিষয় লেখা আছে। শ্রমিকরা কাজ করার সময় নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটের দুটি ব্লকের মধ্যে বৈদ্যুতিক মেইন লাইন চলছিল। যা সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে বন্ধ রাখার কথা এবং সেটি বন্ধ রাখা হয়নি।’