ময়নাগুড়ি: সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ময়নাগুড়ি ব্লকের শিবগাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম প্রিয়াঙ্কা রায়(২০)। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিশ্চিত করতে সঠিক তদন্তের দাবিতে মেয়ের বাবার বাড়ির তরফে ময়নাগুড়ি থানায় শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রিয়াঙ্কার স্বামী বিশ্বজিৎকে আটক করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছর আগে ময়নাগুড়ি ব্লকের শিবগাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিতের সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রান্তি ব্লকের মৌলানি এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার। প্রিয়াঙ্কার বাবা মনি রায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু করে। টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। প্রিয়াঙ্কার স্বামী প্রায়ই তার মেয়ের গায়ে হাত তুলতো। গতকাল রাতে আচমকা ফোনে তিনি জানতে পারেন তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তৎক্ষনাৎ খবর পেয়ে প্রিয়াঙ্কার বাবা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী ময়নাগুড়ি থানায় গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। এরপরই ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এদিকে, প্রিয়াঙ্কার স্বামী বিশ্বজিতের দাবি, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।