উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশের রাজনৈতিক মহলে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনিই সেরা এই বার্তাই দিতে চেয়েছিলেন বলে মনে করেছে অনেকে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশের ১৫জনের বেশি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তার বৈঠক সেই দৃষ্টিভঙ্গীর দিকেই নির্দেশ করেছে।কিন্তু এতসব কিছুর পরও একটা অস্বস্তি কিন্তু থেকেই গেল। এর কারণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভারত সফর সেরে ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে সাংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘জি২০তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর যে পার্শ্ব বৈঠক হয়েছে, সেখানে ভারতের মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি।’
বাইডেনের এই মন্তব্যের কারণ হল, তিনি ভারত সফরে এসে মোদির সঙ্গে যৌথভাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু সূত্র মারফৎ জানা যায়, নরেন্দ্র মোদি তাতে সায় দেননি। মোদির এই অসম্মতির জেরে পাল্টা নিজের বক্তব্যে বাইডেন বলেছেন, “আমি এটা সব সময়েই করি। মানবাধিকার, নাগরিক সমাজের গুরুত্ব এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা একটা মজবুত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে সব সময়ে কার্যকরী।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পর কংগ্রেস নেতা জয়রাম নরেশ বলেন, ‘এর কারণ হল আশঙ্কায় ছিল মোদি, ওয়াশিংটনে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি যেমন অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন, এবারও তা হতে পারত।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু যে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এমন কথা বলেছেন তেমন নয়, এর আগে ভারত সফরে এসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ভারতে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এমনকি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকেও ভারতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়ে বলেছিলেন, “আমি মোদিকে ভাল করে চিনি। আমার যদি ওঁর সঙ্গে কথা হত, তাহলে আলোচনার অন্যতম বিষয় হত ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ও সুরক্ষা। কারণ, প্রবল আশঙ্কা রয়েছে যে ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো হতে পারে।গণতান্ত্রিক দেশের এরকম অভ্যন্তরীণ সংঘাতের পরিবেশ থাকলে কি পরিণাম হতে পারে আমরা দেখেছি। সেটা ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী হবে।”