ক্রান্তি: নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি বাজারে। সম্প্রতি ক্রান্তি বাজার থেকে রহমতটারি অবধি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অর্থে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় তিন কিমি দীর্ঘ রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে কাজ পর্যালোচনা করে সঠিক নিয়ম মেনে কাজের প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই রাস্তার কাজ করতে দেবেন বলে জানান তাঁরা। ঠিকাদারকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে তিনি জানান, তার খুশিমত তিনি কাজ করবেন। প্রতিবেদক যা খুশি লিখতে পারেন, তাতে তার কিছু যায় আসেনা।
দীর্ঘ কুড়ি বছর পর ক্রান্তি বাজার থেকে রহমতটারি অবধি রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তার কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। কিছুদিন আগে রাস্তার কাজ শুরু না করায় রহমতটারির বাসিন্দারা ক্রান্তি-গজলডোবা ক্যানাল রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। তারপর রাস্তার কাজ শুরু হলেও কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে ক্রান্তি বাজার থেকে রাস্তার কিছুটা কাজ শুরু হয়েছিল।
বাসিন্দারা জানান, ইতিমধ্যেই রাস্তা থেকে পিচের আস্তরণ উঠে যাচ্ছে। কোনরকম শিডিউল না মেনে নিজের ইচ্ছেমত ঠিকাদার রাস্তার কাজ করছে। রাস্তা ভাল-খারাপ যাই হোক না কেন ঠিকাদারের কিছুই যায় আসবে না, কিন্তু তাঁদের ভোগান্তি পোহাতে হবে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই তাঁদের যাতায়াত করতে হবে। যেভাবে রাস্তার কাজ হচ্ছে তাতে একমাসও এই রাস্তা টিকবে না। জনসাধারণের অর্থে রাস্তা নির্মিত হচ্ছে, ঠিকাদার কিংবা অন্য কারও খেয়ালখুশি মত রাস্তার কাজ করতে দেওয়া হবে না।
ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় বলেন, ‘সঠিক নিয়ম মেনে রাস্তার কাজ করতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।‘