কোচবিহারঃ উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের মুখে উপাচার্য। একজন অধ্যাপককে একাধিকবার অস্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়াতেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈখিক মহাসংঘের রাজ্য সদস্য ডঃ সংকল্প ওঝা বলেন, ‘এতে যদিও তিনি অর্থনৈতিক কোনও সুযোগসুবিধা পাবেন না। তবে আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা উচিত। কেউ টেম্পরারিভাবে দুই টার্মের বেশি থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের জন্য অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া বা স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ করা হোক।’
জানা গিয়েছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ প্রদ্যুৎকুমার পালের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ১৯ তারিখ ফের তিনি দায়িত্বে বসেন। যদিও ১৬ ফেব্রুয়ারিতেই ডঃ প্রদ্যুৎকুমার পালকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ দেবব্রত বসু বলেন, ‘যখন উপাচার্য ছিল না, তখন রাজ্য সরকার ডঃ প্রদ্যুৎ পালকে ৬ মাসের জন্য হার্ড শিপ ক্লজ মোতাবেক রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিয়েছিল। আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মেনে ৬ মাসের জন্য তঁাকে দায়িত্ব দিয়েছি।’
রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পাবেন না সুপ্রিম কোর্টের বিধিনিষেধ রয়েছে। তারপরও উপাচার্য কীভাবে তিনি রেজিস্ট্রারের মেয়াদ বাড়ালেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এই ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি সোহেল আহমেদ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার ডঃ প্রদ্যুৎকুমার পাল ২০২০ সালের ১৮ অগাস্ট অস্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদে বসেেছন। এরপর বেশ কয়েকবার তঁাকেই অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রার প্রদ্যুৎ পাল অবশ্য বলেন, ‘আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা পালন করব।’ বিতর্ক প্রসঙ্গে কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সভাপতি দেবাশিস দাস জানিয়েছেন, যেহেতু রেজিস্ট্রার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চলা মুশকিল সেদিক থেকে বিবেচনা করে হয়তো তঁাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যখন উপাচার্য ছিল না, তখন রাজ্য সরকার ডঃ প্রদ্যুৎ পালকে ৬ মাসের জন্য হার্ড শিপ ক্লজ মোতাবেক রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিয়েছিল। আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মেনে ৬ মাসের জন্য তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছি।