উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রীর সংঘাত নতুন নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের দ্বৈরথ লেগেই রয়েছে। রাজ্যপালের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোট থেকে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এবার সবকিছুকেই ছাড়িয়ে গেলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে ভর্তসনা করেছেন সৌগত। রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি যোগ নিয়ে খোঁচা দিতেই প্রবীণ সাংসদের সমালোচনা করেছে বিজেপি–সিপিএম। যার জেরে তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।
পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় বারবার সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। এই আবহে প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘তিনি জোর করে বিজেপি পার্টি করে এমন একজন লোককে যাদবপুরের উপাচার্য করেছেন। বুদ্ধদেব সাউ তাঁর নাম কোনও দিন শুনিনি, তাঁকে উপাচার্য করেছেন। একজন উজবুক রাজ্যপালকে পাঠিয়েছে। তিনি প্রত্যেক উপাচার্যকে পাল্টে দিচ্ছেন। নিজের ইচ্ছেমতো উপাচার্য নিয়োগ করছেন। আমি এই সভা থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তীব্র নিন্দা করছি। আমার ধারণা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২৮ অগস্ট একই কথা বলবেন।’ এদিন এই ভাষাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ করলেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের পরই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূলে যারাই যায়, তারা অশিক্ষিত হয়ে যায়। রাজ্যপাল কোনও দলের হন না। রাজ্যপাল রাজ্যপালই হন।’