উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে (Australian Parliament) ইতিহাস। গীতায় (Bhagavad Gita) হাত রেখে সেনেটর হিসেবে শপথ নিলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যারিস্টার বরুণ ঘোষ (Varun Ghosh)। এই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজি সংসদ সদস্য সেদেশে গীতার ওপরে হাত রেখে শপথগ্রহণ করলেন।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া (Western Australia) প্রদেশের থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটে নির্বাচিত হয়েছেন বরুণ ঘোষ। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বিধানসভা এবং বিধান পরিষদ বরুণকে বেছে নেন ফেডারেল সংসদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। শপথগ্রহণের পর সতীর্থরা শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। বরুণ ঘোষ লেবার পার্টির সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় জন্ম বরুণ ঘোষের। তাঁর বাবা-মা দু’জনই চিকিৎসক। ১২ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে চলে আসেন বরুণ। সেখানেই স্কুল এবং কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডারউইন কলেজে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনে অনেক বড় বড় সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন বরুণ ঘোষ। ২০১৮ সালে ব্যারিস্টার হিসেবে নিজের কাজ শুরু করেন বরুণ। ১৭ বছর বয়সেই লেবার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সংসদের যৌথ অধিবেশনে তাঁকে ফেডারেল সেনেটর পদে নিয়োগ করার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সেনেটর হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।
Welcome to Varun Ghosh, our newest Senator from Western Australia.
Senator Ghosh is the first ever Australian Senator sworn in on the Bhagavad Gita.
I have often said, when you’re the first at something, you’ve got to make sure you’re not the last. pic.twitter.com/kTLUZsx0iX
— Senator Penny Wong (@SenatorWong) February 6, 2024
বরুণ শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং (Penny Wong)। তিনি জানান, বরুণ ঘোষ প্রথম অস্ট্রেলিয়ান সেনেটর হিসেবে গীতায় হাত রেখে শপথগ্রহণ করলেন। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, কিছু প্রথমবারের মতো করে থাকলে, এটা নিশ্চিত করাও তোমার দায়িত্ব যে সেই জিনিসটা যেন শেষবারের মতো না হয়। সেনেটর ঘোষের কাছেও আমার অনুরোধ, তিনি যেন নিশ্চিত করেন যে তাঁরপর আরও অনেকেই গীতায় হাত রেখে শপথবাক্য পাঠ করবেন।’ বরুণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজও (Anthony Albanese)।