চালসা: শীতকালীন সবজির আগমন এখনও সেভাবে ঘটেনি। সেই সঙ্গে বছরভর নানা কারণে শাকসবজির দামের খামখেয়ালিপনা তো রয়েছে। আর এই সবকিছু থেকে নিস্তার পেতে স্কুলেই কিচেন গার্ডেন করার চিন্তাভাবনা করেছিল মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম বাতাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ, সরকারি সহযোগিতায় স্কুলেই চাষ হচ্ছে নানান রকম মরশুমি শাকসবজি। কোনওরকম রাসায়নিক সার ছাড়াই সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে শাকসবজি চাষ করে মিড ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানো হচ্ছে। স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি এই সবজির বাগান দেখভাল করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অত্যন্ত হাসিমুখে এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে খুশি তারা। নিজেরাই শাকসবজি চাষ করাতে গতানুগতিক ডিম, সোয়াবিনের বাইরে গিয়ে মাঝেমধ্যে মেনুতে থাকে অভিনবত্ব। বাজার থেকে কেনা সবুজ শাকসবজির তুলনায় সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে নিজেরাই নানান রকম সবজি চাষ করাতে খুশি অভিভাবকরাও। বর্তমানে বিদ্যালয়ের কিচেন গার্ডেনে লংকা, আদা ফলা শুরু করেছে। লাগানো হয়েছে মূলো শাক, বেগুন, লাউ, লাল শাক, পালং শাক, সীম। এছাড়াও রয়েছে নানান ধরনের ফুলের গাছও। বিদ্যালয়ে পাঁচটি ক্লাসে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৫১ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ২। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চৈতি কুন্ডু ও পার্শ্বশিক্ষক বিষ্ণু রায় বর্তমানে ওই কিচেন গার্ডেনের পরিচর্যা করছেন। পড়ুয়ারাও কিচেন গার্ডেন পরিচর্যায় হাত লাগাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চৈতি কুন্ডু বলেন, বহুদিন থেকেই বিদ্যালয়ে কিচেন গার্ডেন আছে। সম্প্রতি ব্লক প্রশাসনের তরফে এই কিচেন গার্ডেনের জন্য আর্থিক সাহায্য পাওয়া গিয়েছে। এই কিচেন গার্ডেনের সবজি দিয়েই মাঝেমধ্যে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল রান্না করে খাওয়ানো হয়। পঠন-পাঠনের পাশাপাশি গার্ডেনের পরিচর্যা ও আমরাই করি পড়ুয়ারাও মাঝেমধ্যে হাত লাগায়। বিভিন্ন রকমের শীতকালীন সবজির এখন পরিচর্যা চলছে। জৈব পদ্ধতিতেই এখানে চাষবাস করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও।