উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। কন্ঠস্বর মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর। ইডি সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। তাহলে কি ‘কাকুর কন্ঠস্বরের’ নমুনার সূত্র ধরে কি বড় কোনও নাম সামনে আসবে? এমন জল্পনাই চলছে ওয়াকিবহাল মহলে।
প্রথম যেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে, একই দিনে তাঁদের অপর টিম পৌঁছে গিয়েছিল পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার বাড়িতেও। সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল রাহুলের ফোন। সেই ফোনের সূত্র ধরেই টেলিফোনিক কথোপকথনের একটি ফাইল ইডির হাতে আসে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, অডিও ক্লিপিংয়ে রাহুলকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলো। পরবর্তীতে এই কন্ঠস্বর সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। আজ রিপোর্ট আসার পর গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন এটা কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠ। এবার আদালতকে এই নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে ইডি।
যদিও কাকুর কন্ঠস্বর নেওয়ার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তবে এতদিন পর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় রাজ্যের আনাচে কানাচে একটাই গুঞ্জন কাকুর সূত্রেই কি আরও বড় কোন রাঘব বোয়াল ধরা পড়বে ইডির জালে? সকলের নজর এখন সেদিকেই।