বোলপুর: তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে প্রাণনাশের হুমকি! পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন থানায় ইমেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপাচার্য। এদিকে ফলক বিতর্ক থেকে নজর ঘোরাতেই এই অভিযোগ বলে মত তৃণমূল নেতৃত্বের।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্য অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে কেউ তাঁকে বোলপুর-বীরভূম থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। কেউ আবার শ্মশানে পাঠানোর কথা বলছেন। রীতিমতো প্রাণ সংশয়ে দিন কাটছে তাঁর। নিরাপত্তার বিষয়টি যেন পুলিশ দেখে, এই মর্মেই থানায় অভিযোগ জানান উপাচার্য।
এই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া তৃণমূলের ছাত্র নেতা জামশেদ আলি খান এবং বিশ্বভারতীর কর্মী সংগঠনের নেতা গগন সরকারদের বক্তব্য, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের বাইরে চলছে অবস্থান কর্মসূচি। বাউল গান, রবীন্দ্রসংগীত, বক্তৃতা হচ্ছে। উপাচার্যের পাঁচ বছরের নানা কীর্তিকলাপও তুলে ধরছেন বক্তারা। আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে উনি চিন্তিত। কিন্তু একবারও ফলক বদলের কোনও উত্তর নেই। এখন শিরোনামে আসতেই তিনি এসব অভিযোগ করেছেন। এদিকে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান প্রতিবাদ করা হচ্ছে। উপাচার্য নিজের ভুল ঢাকতে এখন অনেক কিছুই করবেন। ফলক বদলে দিলেই তো আর কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, ইউনেসকোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ স্বীকৃতি পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসানো ফলকে লেখা বয়ান নিয়ে বিতর্কের শুরু হয়। তাতে আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও ছিল না স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামই। তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে দলকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনে বিশ্বভারতীর কবিগুরু মার্কেটের কাছে অবস্থানমঞ্চ গড়ে পাঁচদিন ধরে চলছে কর্মসূচি। সেই মঞ্চ থেকেই এবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানালেন উপাচার্য।