উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গরমকাল আসতে না আসতেই বাঙালির মন কেমন যেন পাহাড় পাহাড় করে। আর উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়াটাই সবথেকে কাছের এবং সহজ উপায়। হাতে এক দুদিন সময় থাকলেই সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরে আসার সুযোগ রয়েছে। আর দক্ষিণবঙ্গবাসীরাও হাতে চার থেকে পাঁচদিন সময় রাখলেই সুন্দর জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন। এই গরম তার মধ্যে রোজ একঘেয়ে জীবন থেকে মুক্তি পেতে কিছুদিনের ছুটি নেওয়া যেতেই পারে। কংক্রিটের জঙ্গলের বদলে ঘুরে আসুন পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে। যেখানে কোনও যানজট নেই, কোলাহল নেই। রইল উত্তরবঙ্গের ৫ জায়গার হদিস। যেখানে গেলে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষেই দূর হবে।
বাগোড়া– কার্সিয়াং-এর কাছেই রয়েছে বাগোড়া নামে এক গ্রাম। কার্সিয়াং থেকে বাগোড়া যেতে সময় লাগে প্রায় আধ ঘণ্টা মতো। ছিমছাম সবুজে মোড়া বাগোড়া। সেখানে রয়েছে ঘন পাইন বন। হেঁটে হেঁটেই চারিদিক ঘোরা যায়। তাছাড়া কয়েক কিলোমিটারের দূরত্বে রয়েছে চিমনি, ডাওহিল ও ফরেস্ট মিউজ়িয়াম।
পাবং– কালিম্পং থেকে কমবেশি ২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নির্জন পাহাড়ি গ্রাম পাবং। নিরিবিলিতে ২-৩ দিনের ছুটি কাটানোর পক্ষে উপযুক্ত জায়গা পাবং। এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন নেওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক।
তাবাকোশি– মিরিক থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে তাবাকোশি। রাংভাং নদীর উপর ঘুমন্ত এক গ্রাম এই তাবাকোশি। এখানে গেলে পাহাড়ের সৌন্দর্যের সঙ্গে চোখে পড়বে পাইন আর বার্চের সমাহার। তাবাকোশি থেকে জোড়পোখরি, লেপচাজগৎ, পশুপতি মার্কেট, গোপালধারা চা বাগানেও ঘুরে আসতে পারেন।
ঋষিহাট- দার্জিলিং জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম ঋষিহাট। সেখানে অল্প কয়েকজন পাহাড়ি মানুষের বাস। ছোট ছোট কাঠের ঘরবাড়ি। বিলাসবহুল হোটেল নেই, রয়েছে হাতেগোনা হোমস্টে। পাহাড়ের রূপ-রস-গন্ধ সমস্তটা নিংরে উপভোগ করার আদর্শ ঠিকানা এই গ্রামটি।
অহলধারা– দার্জিলিং জেলার কার্সিয়াংয়ের ছোট্ট জনপদ অহলধারা। এখানকার রাতের নিস্তব্ধতাও যেন প্রাণ ভরিয়ে দেয়। আশেপাশে হেঁটে ঘুরতেও মন্দ লাগবে না।