উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অফিসের কাজের চাপ, সংসারের দায়-দায়িত্ব আপনাকে নাজেহাল করে দিচ্ছে? কিছুতেই মুক্তির পথ খুঁজে পাচ্ছেন না? কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি ট্রাই করে দেখুন, জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে৷
নিজের জন্য খানিকটা সময় আলাদা রাখুন: ব্যাপারটা শুনতে সোনার পাথরবাটির মতো মনে হচ্ছে বটে, কিন্তু নিজের পছন্দের কাজগুলি করতে না পারলে বেঁচে থাকাটাই বৃথা মনে হতে পারে একটা সময়ে৷ তাই যত অসুবিধেই হোক না কেন, অন্যর সুবিধের জন্য নিজেকে পুরোপুরি ভুলে যাবেন না৷ কেউ নাচতে ভালোবাসেন, কারও পছন্দ বই পড়া বা গান শোনা, রোজ না পারলেও মাঝে-মধ্যেই নিজেকে এই উপহারগুলি দিন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারুন, সিনেমা দেখুন।
পুষ্টিকর খাবার খান: আপনার শরীর যদি সুস্থ না হয়, তা হলে কিন্তু স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াই করাটা মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করুন, কারণ খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি আপনাকে আরও দুর্বল করে তুলবে৷ তাজা শাকসবজি, ফল, মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডিম, দুধজাত প্রডাক্ট রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়৷ স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে৷
ভেষজের সাহায্য নিতে পারেন: অশ্বগন্ধা, ক্যামোমাইলের মতো কিছু ভেষজ মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে অনেকের ধারণা৷ জিনসেংও ক্রনিক স্ট্রেস কমানোর কাজে ব্যবহৃত হয়৷ রাতে শোওয়ার আগে এক কাপ ক্যামোমাইল চা খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন৷
দারুণ সাহায্য করে অ্যারোমাথেরাপি: অ্যারোমাথেরাপি এবং এসেনশিয়াল অয়েলের যৌথ ব্যবহার স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারে খুব কার্যকর৷ ল্যাভেন্ডার, নেরোলি, চন্দন, কমলালেবুর এসেনশিয়াল অয়েল উত্তেজিত নার্ভগুলিকে শান্ত করে৷ রাতে শোওয়ার আগে স্নানের অভ্যেস আছে? তা হলে সেই জলে মিশিয়ে নিতে পারেন এসেনশিয়াল তেল৷ বালিশে বা আপনার রোজের মাখার ক্রিমেও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন৷ তবে যে জিনিসটি বাজার থেকে কিনছেন, তার শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই ব্যবহার করুন৷
নির্দিষ্ট কয়েকটি রং আপনাকে শান্ত রাখে: নীল, সবুজ, সাদা, গোলাপি, হালকা বেগুনির মতো কয়েকটি রং স্ট্রেস কমাতে দারুণ কার্যকর৷ এই রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে অফিসের ডেস্কে কিছু গাছপালা রাখুন, দেখবেন মানসিকভাবে আপনি অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে উঠবেন৷
সেই সঙ্গে অতিরিক্ত তামাক, ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন৷ বেশি রাত জাগবেন না, দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে৷ সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন অ্যাকটিভ থাকার৷ রোজের কাজে-কর্মে যাঁদের প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়, তাঁদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু যাঁরা সেডেন্টারি লাইফস্টাইল লিড করেন, তাঁরা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন, কিছু ব্যায়াম করুন। আর এর কোনও কিছুতেই কাজ না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷