বক্সিরহাট: সম্প্রতি বৃষ্টিতে জল বেড়েছে রায়ডাকে। এদিকে জল বাড়তে শুরু করায় নতুন করে পাড়ভাঙন শুরু হয়েছে তুফানগঞ্জ-২ এর ভানুকুমারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চর ভানুকুমারি এলাকায়। শুক্রবার সেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন তুফানগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শীতলচন্দ্র দাস। পাড়ভাঙন রুখতে স্থানীয়দের তরফে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে বোল্ডারের বাঁধের দাবি জানানো হয়। সেচ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সভাপতি।
রায়ডাক নদীর ভাঙনের জেরে ঘুম উড়েছে ভানুকুমারি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চর ভানুকুমারি এলাকার ৯/১০০,১০১ এবং ১০২ বুথের বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। একটি মাটির বাঁধ রয়েছে ওই এলাকায়। তবে সেই বাঁধের অর্ধেক অংশ এখন নদীগর্ভে। দ্রুত বোল্ডার বাঁধের ব্যবস্থা না করা হলে বহু আবাদি জমি, ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আগেও বহুবার বাঁধের দাবিতে জেলা ও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। তবে কোনও কাজ হয়নি।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শীতলচন্দ্র দাসের বক্তব্য, পরিস্থিতি নিয়ে তিনিও উদ্বিগ্ন। এমনকি ওই এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল ও পথবাতির দাবি জানানো হয়েছে তাঁকে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, লোকসভা ভোটের মুখে প্রচার পেতে এরকম করছে তৃণমূল। এদিন সভাপতির সঙ্গে ছিলেন ভানকুমারি-১ অঞ্চল কমিটির সভাপতি বরেন সরকার সহ দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।