শিলিগুড়িঃ হিলকার্ট রোডে যখন মুষলধারায় বৃষ্টি হয়, তখন শুকনো থাকে ফুলবাড়ির রাস্তাঘাট। দেশবন্ধুপাড়ায় বৃষ্টির ছিটেফোটাও পড়ে না কলেজপাড়ায়। কাছাকাছি এলাকাগুলোর মধ্যে আবহওয়ার তারতম্যকে ঘিরে ধন্দে পড়েন সাধারণ মানুষ। আবহওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় তাঁদের মনে।
এমন পরিস্থিতির জন্য যে জলবায়ুর পরিবর্তন অনেকাংশে দায়ী, তা বোঝেন হাতেগোনা কয়েকজন। সমস্যা দূর হতে পারে স্থানীয় স্তরে আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। সেই লক্ষ্যে শিলিগুড়ি কলেজের পর সূর্য সেন কলেজে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল আবহাওয়া দপ্তর।
শুক্রবার কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান ডঃ পম্পি সরকারকে নিয়ে জায়গা পরিদর্শন করেন আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা। একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র চালু করে দেওয়া হবে।
গোপীনাথ রাহা বলছেন, ‘তাপমাত্রার উত্থানপতন যেমন ঘটছে, তেমন হেরফের দেখা যাচ্ছে বৃষ্টিপাতে। অনেক সময় সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় না সঠিক তথ্যের অভাবে। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রকের তরফে আরও বেশি করে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কলেজের পড়ুয়ারাও উপকৃত হবেন।’
ডঃ পম্পি সরকারের বক্তব্য, ‘এখন অধিকাংশ পড়ুয়া মোবাইল ফোন নির্ভর হয়ে পড়েছে। যাবতীয় তথ্য তারা মোবাইল থেকে সংগ্রহ করে। সেটা অনেক সময় ভুল ধারণার জন্ম দেয়। সঠিক মূল্যায়নের পাশাপাশি ভূগোল বিভাগের পড়ুয়ারা যাতে আরও বেশি করে তথ্যনির্ভর হতে পারেন এবং সেটা গবেষণার কাজে লাগে, সেজন্য এই উদ্যোগ।’
কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ প্রণবকুমার মিশ্র জানালেন, সঠিক শিক্ষাদানের স্বার্থে আবহাওয়া দপ্তরকে অনুরোধ করা হয় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরির জন্য। পড়ুয়ারা উপকৃত হবেন। এলাকার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।