কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস কী? ইডির কাছে জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কোম্পানি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ১৪ ডিসেম্বর ইডিকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস‘ সংস্থার ডিরেক্টর নথিপত্র জমা করেছেন। পাঁচ হাজার পাতার নথি জমা দিয়েছেন অভিষেক।
একথা জানার পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা মঙ্গলবার ইডিকে প্রশ্ন করেন, ‘এত নথিপত্র কীভাবে এল? কিছু না থাকলে এত নথিপত্র আসে কী? সেগুলি খতিয়ে দেখেছেন?‘ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের পর থেকে অভিষেকের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এনিয়ে বিচারপতি ইডিকে প্রশ্ন করেন, ‘এত টাকার উৎস কী, সেটা দেখেছেন? সমস্ত সম্পত্তি ২০১৪ সালের পর কীভাবে? এত অল্প সময়ে কীভাবে হল? আবার নিয়োগ দুর্নীতিও একই সময়। কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি?‘
বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে ইডি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইডির আইনজীবীর কথায়, ‘আমরা যখন দেখি আর্থিক দুর্নীতি হচ্ছে, তখন তদন্ত শুরু হয়। মুখবন্ধ খামে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট দিতে চাই।‘
ইডি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা চলছে। যদিও ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি। বিচারপতির কটাক্ষ, ‘আপনাদের তদন্তে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।‘ দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।