উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ভেঙে পড়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। জানা গেছে, ইডি হেপাজতে কিছুই খাচ্ছিলেন না তিনি। ইডি আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া ছাড়া তেমন কথাও বলছেন না সুজয়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আদালত সুজয়কৃষ্ণকে ১৪ দিনের ইডি হেপাজতে পাঠানোর পর তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মেয়ে। মেয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন, বাবা টিভিতে এসব কী শুনছি তোমার নামে? মেয়ের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে অঝোরে কেঁদে চলছেন সুজয়কৃষ্ণ। টানা প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি কেঁদেছেন বলে জানিয়েছে ইডি আধিকারিকরা। এমনকি ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে সুজয়কৃষ্ণ বলেন, ‘আমাকে প্রথম দিন ডেকেই গ্রেপ্তার করা হল। আরেকটা দিন সময় দিতে পারত। কিন্তু তা দিল না।‘
নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই সুজয়কৃষ্ণের আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পারে ইডি। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এমনকি গোপাল দলপতির কাছ থেকেও ‘কালীঘাটের কাকু’ তথা সুজয়কৃষ্ণের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, কুন্তল, শান্তনুর মতো এজেন্টদের দিয়ে যে টাকা তোলা হত তা এসে জমা হত সুজয়কৃষ্ণের কাছে। সেখান থেকে টাকা ভাগাভাগি হত। কিন্তু বাকি টাকা কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ হয়েছে তা জানতেই সুজয়কৃষ্ণকে লাগাতার জেরা করছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিতে কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির মুখে। এর পর তাপস মণ্ডল জানান সেই ব্যক্তির নাম সুজয় ভদ্র। এর পর সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই ও ইডি। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত ইডি গ্রেপ্তার করে সুজয়কৃষ্ণকে।