উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আগামীতে কি হবে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের রণনীতি। কোন কোন ইস্যুতে বিঁধবেন মোদি সরকারকে এদিন স্পষ্ট করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। শুক্রবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে রাহুল বাতলে দিলেন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য জোটের রূপরেখা।
এদিন রাহুল বলেন, ‘দু’টো খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে। প্রথমত, কো-অর্ডিনেশন এবং সাব কমিটি। দ্বিতীয়ত, দ্রুত সিট শেয়ারের ফর্মুলা চূড়ান্ত করে ফেলা হবে। এর মাধ্যমে আমরা মোদি সরকারকে উৎখাত করার রূপরেখা দ্রুত ছকে ফেলতে পারব।’ এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দেব আদানি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে মোদি সরকার। আমরা একটি প্রস্তাব নিয়েছি। এই নিয়ে আমরা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ব। কী ভাবে গরিব মানুষ, কৃষক-শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে এই সরকার। এটাই আমাদের প্রচারের প্রথম লক্ষ্য হবে। এই ইস্যু সাধারণ মানুষের কাছে আমরা তুলে ধরব। মোদি-আদানি জোটের দুর্নীতি তুলে ধরবে ইন্ডিয়া।’
সাংসদ শুধু এতটুকুতেই থেমে থাকেননি। তিনি এদিনও চিনের সঙ্গে ভারতের বর্তমান সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহ লাদাখে কাটিয়েছি। কথা বলেছি সেখানকার মেষ পালক ও সাধারণ মানুষ সঙ্গে। তারা আমায় বলেছে, চিন লাদাখের একাধিক অংশ জবরদখল করে ফেলেছে। ওরাই বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিথ্যা বলছেন। প্রত্যেক লাদাখবাসী বলছেন, দেশের সরকার তাঁদের বঞ্চিত করছে। সীমান্তে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মেষপালকদের এখন অনেক জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য খুবই লজ্জার।’
পাশাপাশি বিরোধী জোটের সদস্যদের পারস্পারিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই জোট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে একটি দারুণ সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছে। এই তিনটি মিটিং আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করেছে। সকলেই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া বজায় রেখেছেন। অনেক ভিন্নমত রয়েছে, সেগুলি প্রকাশও করা হচ্ছে। কিন্তু, দ্রুত সমস্যার সমাধানও হচ্ছে।’
জোট গঠন হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে এসেছিল জোটের সদস্যদের মধ্যে সমঝোতার অভাব। তবে তৃতীয় বৈঠকের পর রাহুলের জোট সদস্যদের নিয়ে করা মন্তব্য সেইসব প্রশ্নের নিরসন করে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।