উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি নিয়মিত ব্যায়াম করেন? লক্ষ করলে দেখবেন, ব্যায়াম করার পর খুব খিদে পায় আর সে সময়ে সাধারণত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াটাই দস্তুর। বলা হয়, ব্যায়াম করার আধঘণ্টার মধ্যেই মাসলের পুষ্টির জন্য প্রোটিন খাওয়া উচিত, তাতে শক্তি বাড়ে। মাসলে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন এনার্জির অনেকটাই ব্যয় হয় ব্যায়ামের সময়।
আমাদের শরীর পূর্ণ পুষ্টি পায় একমাত্র সুষম ডায়েট থেকে। তার মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেল সব থাকা প্রয়োজন। একমাত্র তা হলেই আপনার গ্লাইকোজেনের ভাঁড়ার পূর্ণ হবে, মাসলের রিপেয়ারও সম্ভব হবে। বিশেষ করে ফ্যাট খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলে যে সব ভিটামিন ও মিনারেল ফ্যাটে দ্রবীভূত হয়েই কার্যকর হয়, সেগুলি মোটেই কাজ করবে না। তার মধ্যে ভিটামিন ডি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও আছে। যাঁরা সাঁতার কাটেন, দৌড়োন বা সাইকেল চালান, তাঁদের বেশি কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। যাঁরা ইনটেন্স স্ট্রেংথ ট্রেনিং করেন, তাঁরা প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট মিলিয়ে মিশিয়ে খান।
ব্যায়াম শেষ করার পরেই যে খেতে হবে, তার কোনও মানে নেই। মোটামুটি ৪৫ মিনিট থেকে আরম্ভ করে দু’ ঘণ্টার মধ্যে খেলেই চলবে, তবে খুব বেশি খিদে পেয়ে গেলে তখনই খেয়ে নিন খালি পেটে থাকবেন না। সেই সঙ্গে জল খেতে ভুলবেন না যেন!
আদর্শ পোস্ট ওয়ার্কআউট খাবারের তালিকা:
কার্বোহাইড্রেট:
ফল, ওটস, কিনওয়া, বাজরা, হোল গ্রেন পাউরুটি, রুটি, লাল চালের ভাত
প্রোটিন:
দুধ, ছানা, দই, ডিম, চকোলেট দেওয়া দুধ, চিকেন, মাছ, টোফু, পিনাট বাটার
ফ্যাট:
অ্যাভোকাডো, বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড, যে কোনও বাদাম