উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী খুনের মামলায় হাইকোর্টে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আত্মহত্যা। তাতে এও বলা হয়েছে যে কিভাবে আত্মহত্যা হয়েছিল তা পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার পরেও এত বছর বাদে কেন খুনের মামলা দায়ের হল?”
এদিন বিচারপতি বলেন, “মৃতের স্ত্রীর যে অভিযোগ করেছেন তাতে কোথাও হত্যার অভিযোগ নেই। তিনি শুধু এটাই বলেছেন যে অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি করেছে।’ এরপর রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “ঘটনার পাঁচ বছর বাদে যদি নতুন করে মামলা শুরু হয় তাহলে এই ধরনের কত নতুন মামলা শুরু করতে হবে ভাবুন তো। নতুন করে মামলা শুরু করার কি প্রয়োজনীয়তা আছে? সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতিকে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর যে নিরাপত্তারক্ষী মারা গেছেন তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য দেখুন, তিনি কি বলেছেন। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের ক্ষমতাশালী মন্ত্রী ছিলেন। তাই মৃতের পরিবার ভয়ে অভিযোগ করতে পারেনি।’ সবটা শুনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যগুলো রুচিসম্মত নাও হতে পারে। কিন্তু তার ভিত্তিতে কি এই ধরনের মামলা হয়?” এই মামলার আগামী শুনানি ২১ সেপ্টেম্বর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর, শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মাথায় গুলি লাগে এবং পরদিন তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় তিন বছর। ২০২১ সালের জুলাই মাসে শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে হঠাৎ কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতকে তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরতার্থ করতে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবেদন জানান, হয় ওই মামলা খারিজ করা হোক, নয়তো সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক।