বালুরঘাট: বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের তুলনায় বেশি ভোট দিয়েছেন মহিলা ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য সে কথাই বলছে। বালুরঘাট কেন্দ্রে এবার মোট ভোট পড়েছে ৭৯.০৯ শতাংশ। এই লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৬,১৬,৬৬৭ পুরুষ ভোটার এবং ৬,১৮,৬৪৯ জন মহিলা ভোটার। তাদের মধ্যে মহিলা ভোটার ৩.৭৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, সমগ্র জেলায় মোট ১৫,৬১,৯৬৬ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে ৭,৯৮,২১৭ জন পুরুষ, ৭,৬৩,৬৬৮ জন মহিলা এবং ৮১ জন তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার।
গত লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট আসন থেকে ২.৮ শতাংশ ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বালুরঘাট লোকসভা আসনের ফলাফল নির্ধারণে মহিলারা যথেষ্ট প্রভাব ফেলবেন৷ এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘এক দশক ধরে কেন্দ্রের সরকার মহিলাদের অবহেলা করেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রীর মতো প্রকল্প রাজ্যজুড়ে মেয়ে-মহিলাদের ভরসা তৈরি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই মহিলারা তাঁদের ভোট দিয়ে আমাদের সমর্থন করেছেন।’
অন্যদিকে, আরএসপির রাজ্য কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুচেতা বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা আশা করছি মহিলাদের এই বাড়তি ভোট আমরা পাব। আমরা এবার সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে ব্যাপক প্রচার করেছি। প্রত্যেকটা জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন এবং আমাদের পতাকা লাগাতে পেরেছি এবং সর্বোপরি দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্যেকটি বুথে আমরা আমাদের পোলিং এজেন্ট বসাতে পেরেছি। আমরা আশা করছি আমাদের ভোট এবার বাড়বে। তৃণমূল কংগ্রেস যেটা প্রচার করছে যে লক্ষীর ভান্ডারের জন্য মহিলাদের ভোট তারা পাবে এ কথা ঠিক নয়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি লোকসভায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ভোটদানে এগিয়ে রয়েছে তপন। এখানে ভোট পড়েছে ৮০.৮২ শতাংশ। ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ৭৫.২৭ শতাংশ। কুশমন্ডিতে ৭৯.৭৮ শতাংশ, কুমারগঞ্জে ৭৯.৫৮ শতাংশ, বালুরঘাটে ৮০.৬১ শতাংশ, গঙ্গারামপুরে ৮০.২৬ শতাংশ এবং গঙ্গারামপুরে ৭৭.৮৭ শতাংশ।