নাগরাকাটা: ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন(আইটিএ) ও টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার(টাই) আওতাধীন ডুয়ার্স-তরাইয়ের চা বাগানে ১৯ শতাংশের সার্বিক বোনাস রফা হয়েছিল মঙ্গলবার রাতেই। বুধবার ফের কলকাতার বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে আয়োজিত আরেকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর ওই হারের বোনাস থেকে ছাড়প্রাপক বাগানগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হয়। তাতে ২৮টি বাগানের নাম রয়েছে। মোট ১২৪টি বাগানের জন্য এই বোনাস চুক্তি সম্পাদিত হয়। এর অর্থ বাকি ৯৬টি বাগানে ১৯ শতাংশের বোনাসই হবে। আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্টাফ-সাব স্টাফদের ক্ষেত্রে বোনাস গণনার সিলিং এবার ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১৬,৫০০ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে চা মালিকদের যৌথ মঞ্চ কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্ল্যান্টেশনস অ্যাসোসিয়েশনের বোনাস আলোচনা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়া মালিকপক্ষের অন্য দুটি সংগঠন টেরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (টিপা) ও ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইটিপিএ) যৌথভাবে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে তাঁদের সদস্য বাগানগুলির জন্য আলাদা করে বৈঠকের ডাক দিয়েছে। এখন সেদিকেই নজর ডুয়ার্স-তরাই মিলিয়ে ৬০টিরও বেশি বাগান শ্রমিকদের। অন্যদিকে দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের (ডিটিএ) পক্ষে পাহাড়ের ৮০ টিরও বেশি চা বাগানের বোনাস বৈঠক ডাকা হয়েছে আগামী শুক্রবার।
বৃহস্পতিবারের আইটিপিএ ও টিপার বৈঠকে যাতে দ্রুত গ্রহণযোগ্য বোনাস রফা হয় সেই দাবিতে এদিন শ্রমিক সংগঠনগুলিতে সরব হয়। টিপা-র চেয়ারম্যান মহেন্দ্র বানসাল বলেন, আমাদের পরিস্থিতি ভাল নয়। আশা করছি শ্রমিকরা সমস্ত কিছু বুঝেই আলোচনা করবেন। দার্জিলিং তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন লেবার ইউনিয়নের সভাপতি সুরজ সুব্বা বলেন, পাহাড়ের শ্রমিকদের দাবি ২০ শতাংশ বোনাসের। এটা এখানকার শাসকদলের ভূমিকার ওপরও নির্ভর করছে।