উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনার ৬ দিন পর আটলান্টিকের অতল থেকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হল। সেই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ থেকে মানব দেহাংশও উদ্ধার হয়েছে। যদেই জায়গায় সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে সেই স্থান থেকেও কিছু দেহাবশেষ মিলেছে। সেগুলি মানবদেহের টুকরো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কানাডার একটি জাহাজে করে ওই ধ্বংসাবশেষগুলিকে নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন পোর্টে আনা হয়েছে। বুধবার আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকরা উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখছেন। পাশাপাশি, এই দুর্ঘটনার জন্য ‘মেরিন বোর্ড অফ ইনভেস্টিগেশন’ নামে সর্বোচ্চ স্তরের তদন্তও শুরু করেছে আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনী।
গত ১৮ জুন, রবিবার পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করতে আটলান্টিকের অতলে চলে গিয়েছিল টাইটান। কিন্তু যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমুদ্রগর্ভ থেকে নিখোঁজ হয় সেটি। প্রায় পাঁচ দিন পর নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিমি দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট দূরে সাবমেরিনটির খোঁজ মেলে। যদিও সেই সময় জলের চাপে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল টাইটান। তবে টাইটানে থাকা পাঁচ যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে টাইটানের মালিক সংস্থা ‘ওশানগেট’ এবং উপকূল রক্ষীবাহিনীর তরফে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।