তুফানগঞ্জ: ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন যুবক। শুক্রবার ওই যুবকের দেহ বাড়ি ফিরতেই তাঁর স্ত্রী সহ প্রতিবেশীদের কয়েকজনকে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ থানার অন্তর্গত চিলাখানা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জায়গির চিলাখানা এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত বছর দেড়েক আগে। জায়গির চিলাখানার বাসিন্দা সনাতন দাসকে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিতেন তার স্ত্রী সহ প্রতিবেশী এক মহিলা ও দু’জন পুরুষ। কিন্তু ভাইকে বাইরে কাজে যেতে বাধা দিয়েছিলেন দাদা দুলাল দাস। অবশেষে পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর স্ত্রী পূজা দাস, প্রতিবেশী দিপালী বর্মন, উত্তম বর্মন, শ্রীবাস বর্মনকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি যান সনাতন। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পর থেকেই অকথ্য অত্যাচার নেমে আসে সনাতনের ওপর। এমনকি তাঁকে বাড়িতে আসতেও বাধা দেওয়া হয়। গত ২২ অগাস্ট দাদাকে ফোন করে সবটা জানায় সনাতন। অভিযোগ, এরপর আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। ২৩ তারিখ স্ত্রী সহ অন্যান্যরা কাজে বেরিয়ে গেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সনাতন। শুক্রবার মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে পৌঁছয় সনাতনের স্ত্রী পূজা দাস সহ অন্যান্যরা। দেহ এলাকায় আসতেই পূজা দাস এবং দিপালী বর্মনকে মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মৃতের দাদা দুলাল দাস বলেন, ‘আমার ভাইকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে থানায় এফআইআর দায়ের করেছি।’ কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ‘তুফানগঞ্জের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’