আসানসোল: ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। এর মধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বৃহস্পতিবার আসানসোলে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম অবিনাশ সাউ। বাড়ি পুরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের রাঙ্গানিয়া পাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিকে যুবকের মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসেছে আসানসোল পুরনিগম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন খবর পেয়ে এলাকায় যান ওয়ার্ড কাউন্সিলার অমিতাভ বসু। তাঁর সঙ্গে যান স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী ও সাফাইকর্মীরা। দুপুরের পর মেডিকেল অফিসার সহ একটি টিম নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগৎ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) ডাঃ ইউনুস খান ডেঙ্গিতে যুবকের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এলাকায় টিম গিয়েছে। নজরদারি চলছে। ডেঙ্গির প্রকোপ সামলাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হয়েছে।’
এদিকে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একাধিক খাটাল রয়েছে। সেখান থেকে গোবর ও নোংরা-আবর্জনা যেখানে সেখানে পড়ে থাকে। তাতে নর্দমাও ভরে যায়। জল জমে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরনিগম কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও পদক্ষেপের অভাবে এই এলাকা ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর হয়েছে। যদিও আসানসোল পুরনিগম কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ওয়ার্ড কাউন্সিলার থেকে ওই এলাকায় কাজ করা আশাকর্মীরা বলেন, ‘খাটাল মালিকেরা কোনও কথা শোনেন না। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেন না। ওই যুবকের যে গত প্রায় সাতদিন ধরে জ্বর হয়েছে, তাও পরিবারের সদস্যরা চেপে যান। তাঁকে যে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাও তাঁরা জানাননি।’ কাউন্সিলারের দাবি, ‘আমি নিজে কয়েকবার এলাকায় খাটাল মালিকদের জন্য এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, এলাকার বাসিন্দাদেরকে ওই খাটাল মালিকদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে স্মারকলিপি দিতে বলেছিলাম। তাও তাঁরা দেননি।’