সানি সরকার, শিলিগুড়ি: ভোটের ভাগ্যনির্ধারণ যুব ভোটারদের হাতে। তাই বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট (Raju Bista) ‘যুব আড্ডা’-কে পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। যুব মোর্চার শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কমিটির তরফে মঙ্গলবার চম্পাসারির সমরনগরে একটি যুব আড্ডার আয়োজন করা হয়েছিল। এখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে বিস্ট বলেন, ‘প্রতিটি মণ্ডলে ১০টি করে কর্মসূচি নিতে হবে। মোদিজির ভাবনা এবং কর্মপন্থা স্থানীয় যুবদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাঁর নেতৃত্বেই যে যুবদের বিকাশ ঘটেছে, সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।’ নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে বলেও এদিন আড্ডায় শামিল নতুন ভোটার এবং যুবদের সামনে তিনি তুলে ধরেন।
’১৯-এর ভোটে বিজেপির ক্ষমতাসীন থাকার মূলেই তরুণ ভোটারদের ‘আশীর্বাদ’। বড় ব্যবধানে রাজু বিস্টের জয়ের পিছনেও রয়েছে যুব ভোটারদের বিজেপিকে বেছে নেওয়া। পাঁচ বছরের মাথায় লোকসভা নির্বাচনেও যে যুব ভোটাররা ভাগ্য গড়ার নিয়ন্ত্রক, তা প্রতিটি রাজনৈতিক দলই বুঝতে পারছে। তাই যুবদের কাছে টানতে প্রতিটি দলই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ক্ষেত্রে বিজেপি মূলত সামাজিক মাধ্যমে বেশি জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত টিকিট নিশ্চিত না হলেও দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিস্ট সশরীরে যুব ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন। সে কারণেই যুবদের নিয়ে তাঁর আড্ডা।
এদিন সমরনগর বটতলায় আয়োজিত আড্ডায় স্থানীয় কিছু যুবকে পেয়ে তিনি কার্যত গল্পের ছলে ভোট প্রচারটা সেরে নেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কীভাবে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, তার সুফল কীভাবে প্রতিটি সম্প্রদায় পাচ্ছে, তা তিনি তাঁদের সামনে তুলে ধরেন। সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ভারতের কথা তুলে ধরতে বিস্ট তাঁদের এগিয়ে আসার কথাও বলেন। সাংসদ ছাড়াও বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অরিজিৎ দাস বক্তব্য রাখেন। অরিজিৎ বলেন, ‘এই ধরনের আড্ডা এখন থেকে প্রতিটি মণ্ডলে হবে। তৃণমূল আমলে কাজ নেই, দুর্নীতি আছে, সে কথাও তুলে ধরা হবে।’